পাঁচদিন আটকে রেখে গণধর্ষণ শেষে টিএসসি এলাকায় কিশোরীকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মনির হোসেন শুভকে রাজধানীর লালবাগ থেকে আটক করেছে র্যাব। এর আগে বুধবার, ভুক্তভোগীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফেলে গেলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এদিকে র্যাব জানায়, গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। পরে চার দিন ধরে আটকে রেখে তার ওপর অভিযুক্তরা নির্যাতন চালায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, লালবাগ এলাকা থেকে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৩-এর একটি দল রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক জানায়, সে বর্তমানে বিবিএর শিক্ষার্থী। জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করেছে, ভিকটিমের সঙ্গে গত এক মাস আগে লালবাগের একটি বাসায় তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়। আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
ভিকটিমের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি থাকেন লালবাগে। প্রতিবেশী শুভ নামে এক ছেলে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলেও তিনি রাজি হননি। গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পড়তে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলে শুভ, তার বন্ধু শাকিল ও আলামিন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত কোনো স্থানে নিয়ে ওই তিনজনসহ চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে টিএসসি থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আরেক তরুণী জানান, তিনি ওই তরুণীকে চেনেন না। বধুবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে টিএসসিতে গোল্ডেন রঙের একটি প্রাইভেট কারে করে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে তিনি তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।